ঘুমের সময় কি আপনার সন্তান দাঁত কিড়মিড় করে? জানুন কারণ ও সমাধান


শিশুর ঘুম সাধারণত শান্ত, মিষ্টি ও নিরিবিলি হয়। তবে অনেক বাবা–মা লক্ষ্য করেন যে তাদের সন্তান ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় বা ঘষাঘষি করছে। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় Bruxism। এটি ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাধারণ। যদিও অনেক সময় এটি ক্ষতিকর নয়, তবুও দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে দাঁত, মাড়ি কিংবা সামগ্রিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন শিশুরা ঘুমের সময় দাঁত কিড়মিড় করে এবং এর সমাধান কী হতে পারে।

দাঁত কিড়মিড় করার কারণ

1. মানসিক চাপ বা উদ্বেগ

পড়াশোনা, নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানো কিংবা দৈনন্দিন টেনশন—এসব কারণে শিশুদের মধ্যে অজান্তেই দাঁত কিড়মিড় করার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

2. দাঁতের অসামঞ্জস্যতা

অনেক সময় শিশুর দাঁত সঠিকভাবে না বসলে বা উপরের–নিচের দাঁত সঠিকভাবে মিল না খেলে ঘুমের মধ্যে দাঁত ঘষাঘষি হয়।

3. অ্যালার্জি বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা

নাক বন্ধ থাকা, অ্যাজমা বা অ্যালার্জির কারণে ঘুমে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে দাঁত কিড়মিড় হতে পারে।

4. শরীরের স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, স্নায়ুতন্ত্রের অজান্ত প্রতিক্রিয়ার কারণে এই আচরণ হতে পারে।

5. অভ্যাস বা উত্তরাধিকার

পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে যদি দাঁত কিড়মিড় করার প্রবণতা থাকে, তবে শিশুর মধ্যেও এ অভ্যাস দেখা যেতে পারে।

সম্ভাব্য প্রভাব

* দাঁতের ক্ষয় বা ফাটল

* দাঁতের সংবেদনশীলতা

* মাড়ির সমস্যা

* মাথাব্যথা বা চোয়ালে ব্যথা

* ঘুমের ব্যাঘাত

যদিও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা গুরুতর হয় না, তবে নিয়মিত দাঁত কিড়মিড় করলে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

সমাধান ও করণীয়

1. মানসিক চাপ কমানো

শিশুর পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে অযথা চাপ না দেওয়া

   * খেলাধুলা ও বিনোদনের সময় নিশ্চিত করা

   * শোবার আগে হালকা গল্প বলা বা গান শোনানো

2. নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ

দাঁতের কোনো অসামঞ্জস্যতা থাকলে দন্তচিকিৎসক দ্রুত সমাধান দিতে পারেন।

3. মাউথগার্ড ব্যবহার

ডাক্তাররা অনেক সময় রাতে ব্যবহারের জন্য বিশেষ মাউথগার্ড দিতে পারেন, যা দাঁতকে ঘষাঘষি থেকে রক্ষা করে।

4. শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ

অ্যালার্জি বা নাক বন্ধ থাকা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

5. ভালো ঘুমের অভ্যাস

   * নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস

   * শোবার আগে টিভি, মোবাইল বা ভিডিও গেম কম ব্যবহার

   * হালকা ও স্বাস্থ্যকর রাতের খাবার খাওয়া

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

যদি আপনার সন্তান নিয়মিত দাঁত কিড়মিড় করে এবং এর ফলে দাঁতের ক্ষতি, ব্যথা বা ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই একজন দন্তচিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সময়মতো চিকিৎসা ও পরামর্শ নিলে সমস্যাটি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

শিশুর ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করা অনেক সময় স্বাভাবিক ও অস্থায়ী ব্যাপার হতে পারে। তবে নিয়মিত হলে এটি অবহেলা করার মতো নয়। কারণ খুঁজে বের করা এবং সঠিক সমাধান গ্রহণ করাই হলো এর মূল উপায়। বাবা–মা সচেতন থাকলে শিশুর দাঁত ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।


Categories:

 পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেললেই এবার ৫,০০০ টাকা জরিমানা! নতুন আইনে রক্ষা পাবে তরুণ প্রজন্ম?


আজকাল ওয়েবডেস্ক: পথে ঘাটে, কিংবা পাড়ার ক্লাবে, ফোনে মুখ গুঁজে বসে আছে একদল তরুণ। হাতে ধরা মোবাইল নাড়িয়ে চলছে বন্দুক চালানোর খেলা পাবজি কিংবা ফ্রি ফায়ারের মতো অনলাইন গেম। এই দৃশ্য এখন রোজই দেখা যায়। এবার এই অনলাইন গেমের নেশা রুখতে বেনজির দাওয়াই ছত্তীসগঢ়ের একাধিক পঞ্চায়েতের। গেম খেললেই দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।


ছত্তীসগঢ়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মোবাইল গেমিং-এর আসক্তি এবং মদের রমরমা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শিশু-কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সকলেই এই নেশার শিকার। এই প্রবণতা রুখতে এ বার অভিনব এবং কড়া পদক্ষেপ নিল একাধিক পঞ্চায়েত। কবীরধাম জেলার গহিরাভেড়ি পঞ্চায়েত জারি করেছে এক নতুন নিয়ম। সেখানে কোনও শিশুকে জনপ্রিয় অনলাইন ব্যাটেল গেম (যেমন ফ্রি ফায়ার বা পাবজি/বিজিএমআই) খেলতে দেখলে তার অভিভাবকদের ৫,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের জারি করা এই নির্দেশের লক্ষ্য, শিশুদের মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে মুক্ত করে পড়াশোনা ও খেলাধুলোর দিকে তাদের মনোযোগ ফেরানো। এই নিয়ম সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে মাসে তিন বার সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু হয়েছে। শুধু পঞ্চায়েত সদস্য নয়, এই নিয়ম কার্যকর করতে সাধারণ গ্রামবাসীদেরও শামিল করা হয়েছে। নিয়মভঙ্গের খবর দিলে সংবাদদাতা পাবেন ১,০০০ টাকা পুরস্কার

গ্রামের মোড়ল বেদবাই পোর্তে জানিয়েছেন, “শিশুদের মোবাইলের সর্বনাশা ফাঁস থেকে বাঁচাতেই এই উদ্যোগ। আমরা চাই ওরা পড়াশোনা, খেলাধুলো এবং অন্যান্য সৃষ্টিশীল কাজে মন দিক।”

অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী রাজনন্দগাঁও জেলার মথালডাবরি পঞ্চায়েতে অভিযান শুরু হয়েছে মদের বিরুদ্ধে। গ্রামসভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গ্রামে বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লে বিক্রেতাকে ৩১,০০০ টাকা জরিমানা করা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। প্রকাশ্যে মদ্যপানের শাস্তি হিসেবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে গ্রামবাসীরা একসঙ্গে মদ ছাড়ার শপথও নিয়েছেন, যা সম্মিলিত সামাজিক পদক্ষেপের এক বিরল নজির।


দুই পঞ্চায়েতেরই বক্তব্য, এই পদক্ষেপগুলি একটি স্বাস্থ্যকর ও শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ গড়ে তোলার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ। তার জন্য আইনভঙ্গকারীদের পকেটে টান পড়লেও প্রশাসন পিছু হটবে না।



 

বেতন ও গ্রেড নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুখবর দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেড করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এছাড়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে বিভাগীয় উপপরিচালক পর্যন্ত সব কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কেননা বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। তদারকি কর্মকর্তা এবং প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড একই হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা। এতে করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের তিন গ্রেডের ব্যবধান তৈরি হয়েছে। এতে টাকার অঙ্কে ইনক্রিমেন্টসহ প্রায় ১৫ হাজার ব্যবধান তৈরি হয়েছে। এ অসন্তোষ দূর করতে সরকার বেতন গ্রেড উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ও বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের পদনাম পরিবর্তন করে ‘শিক্ষক’ করা হয়েছে। তাদের বেতন স্কেল ১১ গ্রেডে উন্নীত করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউপিইও), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) এবং বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের (ডিডি) স্কেল এক ধাপ উন্নীত করতে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

তিনি জানান, অর্থ উপদেষ্টা, অর্থ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বেতন বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরা হলে তাতে অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সায় দিয়েছে। নতুন পে-কমিশনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে।

নতুন প্রস্তাবে বেতন কাঠামো

সরকারের কাছে পাঠানো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন প্রস্তাবে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে যে ১৩তম গ্রেডে (১১ হাজার টাকা স্কেল) বেতন পান, তা উন্নীত করে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৬৬ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউএপিইও) জন্য বর্তমান ১০ম গ্রেড (১৬ হাজার টাকা স্কেল) থেকে উন্নীত করে ৯ম গ্রেডে (২২ হাজার টাকা স্কেল) বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পদে সারাদেশে ২,৬০৭ জন কর্মকর্তা কর্মরত।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউপিইও) ক্ষেত্রেও বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। তারা এখন ৯ম গ্রেডে (২২ হাজার টাকা স্কেল) বেতন পাচ্ছেন, প্রস্তাব অনুযায়ী এটি উন্নীত হয়ে হবে ৮ম গ্রেড (২৩ হাজার টাকা স্কেল)। বর্তমানে এই পদে রয়েছেন ৫১৬ জন কর্মকর্তা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ডিপিইও) বেতনও বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের বেতন ৭ম গ্রেড (২৯ হাজার টাকা স্কেল) থেকে উন্নীত করে ৬ষ্ঠ গ্রেডে (৩৫ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ পদে কর্মরত আছেন ৬৮ জন।

এছাড়া, বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের বেতন ৫ম গ্রেড (৪৩ হাজার টাকা স্কেল) থেকে বাড়িয়ে ৪র্থ গ্রেড (৫০ হাজার টাকা স্কেল) করার সুপারিশ করা হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
Categories:

নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কে এখনো ধরা পড়ে ৫০ বছরের পুরোনো মহাকাশযানের সংকেত



১৯৭৭ সালের কথা। তখন পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল দুইটি মহাকাশযান — Voyager 1Voyager 2। এই মহাকাশযানগুলোর উদ্দেশ্য ছিল সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলোর তথ্য সংগ্রহ এবং মানব সভ্যতার একটি ক্ষুদ্র বার্তা বহন করে মহাবিশ্বে প্রেরণ। তখন হয়তো কল্পনাও করা যায়নি যে এই মহাকাশযানগুলো ৫০ বছর পরেও পৃথিবীতে সংকেত পাঠাবে — এবং সেই সংকেতগুলো এখনো ধরা পড়ে নাসার এক বিশেষ নেটওয়ার্কে, যার নাম Deep Space Network (DSN)


নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক কী?

NASA Deep Space Network (DSN) হলো এক বিশাল বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত রয়েছে — মূলত ক্যালিফোর্নিয়া (যুক্তরাষ্ট্র), মাদ্রিদ (স্পেন) এবং ক্যানবেরা (অস্ট্রেলিয়া) — এই তিনটি জায়গায়।
এগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে পৃথিবী যেকোনো সময় ঘুরলেও, মহাকাশে অবস্থানরত মহাকাশযানের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ বজায় রাখা সম্ভব হয়।

DSN-এর কাজ হচ্ছে:

  • দূরবর্তী মহাকাশযান থেকে সংকেত গ্রহণ করা

  • পৃথিবী থেকে কমান্ড পাঠানো

  • ছবি ও ডেটা ডাউনলোড করা

এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী আন্তর্মহাকাশ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিচিত।


ভয়েজার: মহাকাশে মানব সভ্যতার দূত

Voyager 1 ও 2 ছিল মানবজাতির প্রথম কিছু মিশনের অংশ, যারা বৃহস্পতির চাঁদ, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনের কাছে গিয়ে সরাসরি ছবি ও ডেটা পাঠিয়েছিল। এই মিশনগুলো এতটাই সফল হয়েছিল যে, মূল মিশন শেষ হওয়ার পরেও তাদের যাত্রা বন্ধ হয়নি।

বর্তমানে, Voyager 1 মানব ইতিহাসে সবচেয়ে দূরবর্তী মহাকাশযান, যেটি এখন ২১ বিলিয়ন কিলোমিটার (১৩ বিলিয়নের বেশি মাইল) দূরে অবস্থান করছে। Voyager 2-ও এর থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই।

এই বিশাল দূরত্ব থেকেও এরা এখনো পৃথিবীতে সংকেত পাঠাতে সক্ষম — এবং সেই সংকেত ধরেই কাজ করছে ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক


কীভাবে এই সংকেত কাজ করে?

Voyager মহাকাশযানগুলোতে রয়েছে 70s-এর দশকের প্রযুক্তি, যেখানে কম্পিউটার মেমোরি মাত্র ৬৪ কিলোবাইট এবং সংকেত পাঠানো হয় ২৩ ওয়াটের রেডিও ট্রান্সমিটারে — যা একটি স্ট্যান্ডার্ড বাল্বের শক্তির চেয়েও কম।

এত দুর্বল সংকেত, এত বিপুল দূরত্ব পেরিয়ে যখন পৃথিবীতে আসে, তা এতটাই ক্ষীণ হয় যে তা ধরা মানুষের পক্ষে অসম্ভব।
কিন্তু DSN-এ থাকা বিশাল অ্যান্টেনাগুলো (যেগুলোর ব্যাস ৭০ মিটার পর্যন্ত) সেই সংকেত ধরে, প্রসেস করে, এবং তা বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠায়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় — Voyager 1 থেকে যে সংকেত আসে তা ২০ ঘণ্টা সময় নেয় পৃথিবীতে পৌঁছাতে। আর সেই সংকেত এতটাই দুর্বল যে তা একটি ঘড়ির টিকটিকির চেয়েও কম শক্তির।


কেন এখনো চলছে এই যোগাযোগ?

নাসা Voyager মিশনকে এখন "Interstellar Mission" হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এখন এদের প্রধান কাজ হলো:

  • সৌরজগতের সীমানার বাইরের পারিপার্শ্বিকতা বোঝা

  • আন্তঃনাক্ষত্রিক কণাগুলোর গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করা

  • মহাজাগতিক বিকিরণ ও প্লাজমা পর্যবেক্ষণ করা

এইসব তথ্য মানবজাতিকে ভবিষ্যতের আন্তরীক্ষ অভিযান পরিচালনায় সাহায্য করবে।


চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

যেহেতু Voyager মহাকাশযানগুলো পুরনো প্রযুক্তিতে তৈরি, তাই বর্তমানে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
নাসার অনেক প্রকৌশলী যারা শুরুতে এই প্রকল্পে কাজ করতেন, তারা ইতোমধ্যেই অবসর নিয়েছেন।
তাছাড়া, প্রতি বছর Voyager-এর পাওয়ার সাপ্লাই কমে যাচ্ছে, যার ফলে ২০২৫ সালের পর তাদের সংযোগ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।


শেষ কথা

৫০ বছর আগে তৈরি করা একটি যন্ত্র আজও মহাকাশে সক্রিয় আছে — এটি শুধু প্রযুক্তির কীর্তি নয়, এটি মানবজাতির অদম্য কল্পনা ও অনুসন্ধিৎসার প্রতীক।
Voyager আমাদের শিখিয়েছে যে মহাবিশ্বে আমরা কতটা ক্ষুদ্র, আবার কতটা সাহসীও।
আর এই অভিযানের পেছনে নিরবভাবে কাজ করে চলেছে NASA’র Deep Space Network — বিশ্বের সবচেয়ে অনুগত শ্রোতা, যারা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে বহুদূর থেকে আসা একটুকরো সংকেতের।


 মধু কখনো নষ্ট হয় না – প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উপহার


মধু, প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শুধু একটি মিষ্টি তরল নয়, বরং প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি যা হাজার বছরেও নষ্ট হয় না। এটি এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা অজস্র গুণে ভরপুর এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করেও খাওয়া যায়।

প্রমাণিত ঐতিহাসিক সত্য

মধু কখনো নষ্ট হয় না – এটি কোনো লোককথা নয়, বরং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি বাস্তবতা। মিশরের পিরামিডে খননের সময় প্রায় ৩০০০ বছর পুরনো মধু আবিষ্কৃত হয়, যা আজও খাওয়ার উপযোগী। গবেষকরা বিস্মিত হন দেখে যে, এত পুরোনো মধুতে কোনো ছাঁচ বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নেই। এটি প্রমাণ করে, সঠিকভাবে সংরক্ষিত মধু হাজার বছরেও নষ্ট হয় না।

কেন মধু নষ্ট হয় না?

এর পেছনে রয়েছে কিছু চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক কারণ। নিচে তা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো:

১. অতি কম পানির উপস্থিতি

মধু একটি হাইগ্রোস্কোপিক পদার্থ, অর্থাৎ এটি বাতাস থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে। তবে এর নিজস্ব পানির পরিমাণ খুবই কম (প্রায় ১৭%-এর নিচে), যা ব্যাকটেরিয়া বা ছাঁচ জন্মাতে বাধা দেয়। অধিকাংশ জীবাণু বেঁচে থাকার জন্য পানির ওপর নির্ভরশীল, তাই মধুতে তারা টিকতে পারে না।

২. অম্লীয় pH মাত্রা

মধুর pH মাত্রা ৩.২ থেকে ৪.৫ এর মধ্যে থাকে, অর্থাৎ এটি স্বাভাবিকভাবেই অম্লীয়। এই অম্লীয় পরিবেশ বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচের জন্য প্রতিকূল।

৩. হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের উপস্থিতি

মধুতে একটি এনজাইম থাকে যার নাম গ্লুকোজ অক্সিডেজ। এটি গ্লুকোজ ভেঙে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরি করে, যা একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। এটি মধুকে জীবাণু-মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৪. প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ

মধুতে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। এই কারণে মধুকে প্রাকৃতিক ওষুধ বলা হয়।

আধুনিক ব্যবহারে মধু

বর্তমানে মধু শুধু খাদ্য নয়, রূপচর্চা, চিকিৎসা এবং পুষ্টির উৎস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

১।    প্রাকৃতিক কাশি নিরাময়কারী
২।    চুল ও ত্বকের যত্নে
৩।    গায়ে ক্ষত হলে জীবাণুনাশক হিসেবে
৪।    শক্তি বর্ধক প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে
৫।    হজম সহায়ক হিসেবে

সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

যদিও মধু স্বাভাবিকভাবে নষ্ট হয় না, তবুও এটি সংরক্ষণের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত:

  • কাচ বা স্টিলের পাত্রে রাখুন, যাতে আর্দ্রতা প্রবেশ না করে

  • ঢাকনা ভালভাবে বন্ধ রাখুন

  • সরাসরি রোদ বা উচ্চ তাপে সংরক্ষণ করবেন না

  • ফ্রিজে রাখা প্রয়োজন নেই, বরং ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গায় রাখলেই যথেষ্ট

উপসংহার

মধু প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উপহার। এটি শুধু একটি স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী এবং সংরক্ষণযোগ্য এক মহামূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। "মধু কখনো নষ্ট হয় না" — এটি শুধু কথার কথা নয়, বাস্তব ও প্রমাণিত সত্য। প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও শক্তিবর্ধক এই উপাদান আমাদের প্রতিদিনের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি চামচ মধু অন্তর্ভুক্ত করলেই আপনি পাবেন শতগুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা — আর সেটিও হাজার বছর ধরে সংরক্ষিত হতে পারে!

 World Day Against Cyber Censorship

Defending Digital Freedom

The world celebrates World Day Against Cyber Censorship on March 12th each year, a day devoted to advancing and protecting online freedom of speech. This day, which was created by Reporters Without Borders (RSF) in 2008, symbolizes the continuous fight against internet censorship, surveillance, and limitations imposed by governments and organizations around the world. The struggle for an open and free internet is more crucial than ever in a time when digital platforms are essential for activism, communication, and knowledge sharing.

The Value of Internet Freedom
The way we communicate, learn, and voice our ideas has been completely transformed by the internet. It has offered a platform for social and political change, empowered people, and given voice to the voiceless. However, a lot of governments have put in place restrictive measures to limit free expression, information access, and online privacy because they believe that the internet poses a danger to their authority. Website blocking, content filtering, widespread surveillance, and legal sanctions against dissident voices are just a few examples of the many ways that this suppression can occur.

Online censorship is practiced in more than 60 countries, according to RSF and other digital rights organizations. Some of the strictest regulations are found in countries like China, Iran, North Korea, and Russia, which also monitor residents' internet activities and prohibit independent news websites and social media platforms. Concerns over the state of internet freedom are raised even in democracies by problems including widespread monitoring, data privacy violations, and corporate control over digital content.

Risks to Internet Freedom
In the current technical environment, a number of significant dangers to digital freedom are still emerging:
Government Censorship: A lot of governments use political stability, public morality, or national security as justifications for internet limitations. Common strategies include social media shutdowns, website bans, and firewalls.
Privacy Invasion and Surveillance: Businesses and governments gather enormous volumes of personal information, frequently without users' knowledge or agreement. Both freedom of speech and privacy are at risk due to this widespread surveillance.

Misinformation and Content Manipulation: To sway public opinion, some governments censor information while others spread false information online.
Corporate Control: The online information flow is heavily influenced by big tech firms like Google, Facebook, and Twitter. Digital freedom may also be impacted by monopolistic practices, content deletions, and algorithmic prejudices.

Resistance and Advocacy
To combat cyber censorship, groups like Access Now, the Electronic Frontier Foundation (EFF), and Reporters Without Borders put out endless effort. They spread knowledge about digital rights, support laws that safeguard online freedom, and offer resources for getting around censorship.
Online prohibitions can also be circumvented with the aid of technological solutions. Users have more control over their online experiences because to decentralized platforms, encryption tools, and virtual private networks (VPNs). Journalists and whistleblowers are also essential in bringing to light human rights abuses associated with internet limitations and government censorship.

Methods for Ending Cyber Censorship on World Day
People may fight internet censorship and promote digital freedom in a number of ways:
Raise Awareness: Post on social media about digital rights and internet restriction.
Employ Secure Tools: Use VPNs, encrypt conversations, and switch to search engines that prioritize privacy.
Help Advocacy Groups: Contribute to or work as a volunteer for groups that defend internet freedom.

Hold Companies and Governments Responsible: Call for openness and laws that safeguard digital rights.
Educate Both Yourself and Others: Keep up with emerging risks to internet freedom and instruct others on safe online conduct.

In conclusion
A crucial reminder of the continuous struggle for digital freedom is provided by World Day Against Cyber Censorship. The fight against online limitations is still vital since the internet continues to impact global conversation and shape societies. We can contribute to ensuring that the internet continues to be a platform for open communication, innovation, and free speech for future generations by opposing cyber censorship, supporting digital rights, and using technology sensibly.

 অজান্তেই বোকা প্রমাণ হচ্ছেন? এখনই এই ১১টি অভ্যাস বদলান


আমরা সবাই চাই যে, অন্যের কাছে আমাদের বুদ্ধিমান ও প্রজ্ঞাবান মনে হোক। তবে কখনো কখনো নিজের অজান্তেই এমন কিছু কাজ করি, যা আমাদের কম বুদ্ধিমান হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে। সাধারণত এগুলো ছোটখাটো ভুল, কিন্তু বারবার ঘটলে অন্যদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, সেই ১১টি সাধারণ অভ্যাস যা আপনাকে অনিচ্ছাকৃতভাবে কম বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে পারে।

১. অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বা সব জানার ভান করা

নিজেকে সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনে করা এবং অন্যের কথা গুরুত্ব না দেওয়া বোকামির পরিচয় দেয়। প্রকৃত বুদ্ধিমান ব্যক্তি জানেন যে, শেখার কোনো শেষ নেই।

২. যুক্তি ছাড়াই মতামত দেওয়া

পর্যাপ্ত তথ্য বা যুক্তি ছাড়া কোনো বিষয়ে মতামত দিলে মানুষ আপনাকে গম্ভীরভাবে নাও নিতে পারে। অযথা মন্তব্য করা আপনাকে কম বুদ্ধিমান মনে করাতে পারে।

৩. বেশি কথা বলা, কম শোনা

অন্যের কথা শোনা এবং বোঝার ক্ষমতা একজন বুদ্ধিমান মানুষের বৈশিষ্ট্য। যারা অন্যদের কথা না শুনে শুধু নিজেদের কথা বলে যান, তাদের সাধারণত কম বুদ্ধিমান মনে করা হয়।

৪. আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেওয়া

যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দিলে সিদ্ধান্ত ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি আপনার চিন্তাশক্তির দুর্বলতা প্রকাশ করতে পারে।

৫. ভুল স্বীকার করতে না চাওয়া

নিজের ভুলকে স্বীকার করতে না পারলে তা আপনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে তা সংশোধন করতে সচেষ্ট হন।

৬. সবকিছুতে নেতিবাচকতা খোঁজা

যারা সবসময় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন, তাদের আশপাশের মানুষ কম সচেতন বা কম বুদ্ধিমান মনে করতে পারে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে আরও বুদ্ধিমান ও পরিপক্ব করে তুলতে পারে।

৭. অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করা

কোনো নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করা আপনাকে কম কৌশলী ও কম দক্ষ প্রতিপন্ন করতে পারে।

৮. বিনয়হীনতা ও অহংকার

অহংকার এবং বিনয়হীন আচরণ মানুষকে আপনার প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে বাধ্য করে। প্রকৃত জ্ঞানীরা সর্বদা বিনয়ী হয়ে থাকেন।

৯. সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক তথ্য সম্পর্কে অজ্ঞতা

বিশ্বের চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে অজ্ঞতা মানুষকে কম বুদ্ধিমান করে তোলে। হালনাগাদ তথ্য ও সাধারণ জ্ঞানের অভাব থাকলে অন্যরা আপনাকে অল্পবুদ্ধির ভাবতে পারে।

১০. কৌতূহল ও শেখার আগ্রহের অভাব

যারা নতুন কিছু শেখার আগ্রহ দেখান না, তাদের সাধারণত কম বুদ্ধিমান হিসেবে গণ্য করা হয়। নতুন বিষয় শেখার আগ্রহ একজন ব্যক্তির মেধার পরিচয় দেয়।

১১. যোগাযোগের দুর্বলতা

পরিষ্কারভাবে নিজের ভাব প্রকাশ করতে না পারা বা অসংলগ্নভাবে কথা বলা আপনাকে কম বুদ্ধিমান মনে করাতে পারে। স্পষ্ট ও সুসংগঠিতভাবে কথা বলার দক্ষতা একজন ব্যক্তির প্রজ্ঞার প্রতিফলন ঘটায়।

আমাদের দৈনন্দিন কিছু আচরণই আমাদের অন্যদের চোখে কম বুদ্ধিমান মনে করাতে পারে। এই অভ্যাসগুলো পরিহার করে এবং আত্মউন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়ে আমরা আরও প্রজ্ঞাবান ও বুদ্ধিমান হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারি।



Categories:

হার্ট অ্যাটাক ও গ্যাসের ব্যথার পার্থক্য না বুঝেই অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করছেন! সতর্ক থাকুন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন


"গ্যাসের ব্যথা ও হার্ট অ্যাটাক সম্পূর্ণ ভিন্ন শারীরিক সমস্যা, তবে অনেকেই এদের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। এ বিষয়ে চিকিৎসকের মতামত জানুন।"

বুকের ব্যথা এবং অস্বস্তি গ্যাস ও হার্ট অ্যাটাক উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে। তবে দুই অবস্থার কারণ ও প্রভাব আলাদা। শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাক নয়, গ্যাস্ট্রিক অ্যাটাকও কখনও কখনও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই দুই সমস্যার লক্ষণগুলি জানা গুরুত্বপূর্ণ।

ডঃ সেলিম জাইদি বলেন, "গ্যাসের ব্যথা এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে প্রধান মিল হল বুকের ব্যথা। তবে পার্থক্য বোঝার জন্য কিছু সাধারণ বিষয় জানা জরুরি।"

গ্যাসের ব্যথা মূলত পেটে জমে থাকা গ্যাস বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ফলে হয়ে থাকে। সাধারণত পাকস্থলীতে উৎপন্ন গ্যাস্ট্রিক জুস খাবার হজমে সহায়তা করে। তবে, যখন পাকস্থলীর সুরক্ষামূলক মিউকাস স্তর দুর্বল হয়ে যায়, তখন অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

অনেকের GERD (Gastroesophageal Reflux Disease) নামক সমস্যা থাকতে পারে, যেখানে পেট ও বুকের মাঝে ব্যথা অনুভূত হয়। এটি হার্ট অ্যাটাকের মতো অনুভূত হতে পারে, কিন্তু আসলে তা নয়।

হার্ট অ্যাটাক সাধারণত বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে অনুভূত হয়। এই ব্যথা কাঁধ, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ ও হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ব্যথা অত্যন্ত তীব্র হয় এবং অনেক সময় অসহনীয় মনে হয়। মনে হতে পারে যেন বুকে ভারী কিছু রাখা হয়েছে।

হার্ট অ্যাটাক হলে শ্বাসকষ্ট হয়, অনেক সময় মাথা ঘুরতে পারে এবং অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক মূলত করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ সৃষ্টি হওয়ার কারণে হয়, যার ফলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা সাধারণত বাম দিকে হয়, গ্যাসের ব্যথা পেটে বা বুকের নিচের অংশে অনুভূত হয়।

গ্যাসের ব্যথায় বুক ও গলায় জ্বালাপোড়া হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার তুলনায় কম তীব্র হয়।

হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়, কিন্তু গ্যাসের ব্যথা তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা যায়, যা গ্যাসের ব্যথায় সাধারণত কম দেখা যায়।

যদি বুকের ব্যথা হয় এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বিশেষ করে যদি ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম দেখা যায়, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।














Categories:

 

Cozy Keys to Good Health: How Staying Warm Eases Pain, Fights Colds and More


Chilly temperatures call for coziness. While bundling up at home is a great way to stay comfortable during colder months, it can also improve your wellbeing. Whether you love sipping hot cocoa, snuggling under a fuzzy blanket or relaxing near a crackling fire, we break down the cozy keys to good health.

Cozy keys to good health 

These cold weather health boosters are study-proven to ease inflammation, improve mood, boost immunity and more. 

Hot cocoa tames pain 

The next time a damp, chilly day makes you feel stiff and sore, reach for a study-proven painkiller—a delicious mug of hot cocoa! Swedish investigators reporting in the journal PLOS One say that hot cocoa boasts rich stores of phytonutrients (flavanols) that quickly calm overactive pain nerves and tamp down tissue inflammation, easing achiness in as little as five minutes. More good news: Their research found that nibbling a few ounces of milk or dark chocolate can give you the same impressive pain relief.

Bed stretches soothe sore muscles 

Instead of scrambling out of bed and reaching for your to-do list, take a few minutes to relax under the covers while you stretch your arms, legs and back. Brazilian scientists say gently stretching warm, relaxed muscles tamps down pain flares as effectively as outdoor walks can.

A fuzzy blanket sharpens focus 

Dreary weather and more time spent cooped-up indoors can make you feel foggy and scattered. Thankfully, taking a few minutes to snuggle under a warm, fuzzy blanket can help, boosting focus, concentration and productivity by as much as 52 percent. That’s the word from Columbia University scientists, whose study revealed that even a 2°F boost in skin temperature instantly relaxes and opens arteries, increasing the flow of energizing, oxygen-rich blood to the brain.

While you’re relaxing under a warm throw, try writing out a list of fun things you’d love to do (such as shopping for new houseplants, visiting your favorite bakery or enjoying a game night with friends). This can sharpen your focus within minutes, British investigators say. They explain that even just anticipating happy times fuels the release of energizing beta brain waves.

Your favorite cardigan tames stress 

If you catch yourself stressing when you’d rather be smiling, try donning a pretty cardigan. Temple University research suggests that layering on this cozy topper cuts tension, edginess and anxiety by as much as 60 percent in minutes. How? Experts say the gratitude you feel when you’re wearing clothing that you love (and that helps you stay comfy and warm on chilly days) prompts the release of tension-taming neurotransmitters.

Bonus points if you knit your own sweater or scarf! Spending a little time each day doing something creative, such as knitting, crocheting or scrapbooking, drops your stress level by as much as 75 percent, an Australian study suggests. That’s because creative activities stimulate brain nerves to release the calming hormone serotonin.

A cozy fire blocks colds 

Relaxing by a warm, crackling fire a few times each week while you read, listen to music or just gaze at the pretty flames cuts your risk of colds, influenza and other winter ills in half. Plus it reduces your recovery time if you’re under the weather right now, USC research suggests. The calming sight, sound and warmth of a cozy fire makes stress hormone levels plunge, and that healthy hormone shift activates 220 immunity-boosting genes.

Already under the weather? Try stretching out for a little snooze, which reduces your symptoms and recovery time if you pick up a cold or other viral ill this winter. So say Chinese investigators, who found that germ-fighting immune cells (lymphocytes) are far more active when you’re well-rested.

A hot bath lifts your spirits 

Meh moods tend to drag us down more frequently (and for longer periods of time) in the winter months when happiness-boosting UV light is in short supply. The at-home Rx? A blissful bath. German scientists say relaxing in a warm, steamy tub of water for as little as 20 minutes prompts the release of mood-steadying brain waves. And it can banish the blues and restore cheer more effectively than exercise can if you treat yourself to two baths weekly.

Also smart: Keeping your home at a comfy 72°F during the day can prevent blue moods (even if you drop the temperature at night when you’re sleeping), suggests a review of 20 studies in the journal Public Health. Being in a comfortably-warm space calms your nervous system, prompting it to release the happiness-boosting hormone dopamine.

Snuggly slippers lower your blood sugar 

Keeping blood sugar steady is key to preventing type 2 diabetes and keeping your energy up. And Dutch scientists say keeping yourself warm on chilly evenings by donning slippers or wearing fuzzy pajamas can make blood glucose control soar in as little as one week. Keeping skin warm activates genes that heighten insulin sensitivity inside muscle and liver cells, helping them quickly soak up and burn blood glucose for fuel.



Categories: