একজন অসহায়ত্বের সুরে বলেছেন, ‘নিচের পদের সরকারি চাকরিজীবীদের সমাজে বাঁচা বড় কষ্ট হয়ে গেছে। ঋণে জর্জরিত প্রতিটি পরিবার। বৃদ্ধ পিতা–মাতার চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত ছোট ও সৎ কর্মচারীদের পক্ষে কথা বলুন। গ্রেড ১-৫ বাদে নিচের কর্মচারীরা খুবই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।’
একজন অসহায়ত্বের সুরে বলেছেন, ‘নিচের পদের সরকারি চাকরিজীবীদের সমাজে বাঁচা বড় কষ্ট হয়ে গেছে। ঋণে জর্জরিত প্রতিটি পরিবার। বৃদ্ধ পিতা–মাতার চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত ছোট ও সৎ কর্মচারীদের পক্ষে কথা বলুন। গ্রেড ১-৫ বাদে নিচের কর্মচারীরা খুবই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।’
চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘একজন দিনমজুরের দৈনিক মজুরি ন্যূনতম ৭০০–৮০০ টাকা! যারা রিকশা–ভ্যান চালায়, তারাও দিনে কমপক্ষে ৮০০ টাকার ওপরে উপার্জন করে! সম্প্রতি পোশাকশ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে! সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে! বছরে বৃদ্ধি হবে ৯ শতাংশ।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের কথা বলেছেন ঘুষ খায়, কিন্তু অনেক স্বায়ত্তশাসিত সরকারি পদ আছে; সাধারণ কর্মচারী, তাঁদের কোনো সুযোগ নেই, অল্প বেতনে সংসার চলে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০, মোট বেতন ৯ হাজার টাকা, আর কোনো ভাতা নেই, তারা ৯ হাজারে কীভাবে সংসার চালাবে?’
আমরাও মনে করি, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। এই বঞ্চনার অবসান অবশ্যই চাই। শিক্ষায় সরকারি–বেসরকারি কিংবা এমপিওভুক্ত ও ননএমপিওভুক্ত এই শ্রেণিভেদ থাকা উচিত নয়।
চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘একজন দিনমজুরের দৈনিক মজুরি ন্যূনতম ৭০০–৮০০ টাকা! যারা রিকশা–ভ্যান চালায়, তারাও দিনে কমপক্ষে ৮০০ টাকার ওপরে উপার্জন করে! সম্প্রতি পোশাকশ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে! সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে! বছরে বৃদ্ধি হবে ৯ শতাংশ।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের কথা বলেছেন ঘুষ খায়, কিন্তু অনেক স্বায়ত্তশাসিত সরকারি পদ আছে; সাধারণ কর্মচারী, তাঁদের কোনো সুযোগ নেই, অল্প বেতনে সংসার চলে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০, মোট বেতন ৯ হাজার টাকা, আর কোনো ভাতা নেই, তারা ৯ হাজারে কীভাবে সংসার চালাবে?’
আমরাও মনে করি, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। এই বঞ্চনার অবসান অবশ্যই চাই। শিক্ষায় সরকারি–বেসরকারি কিংবা এমপিওভুক্ত ও ননএমপিওভুক্ত এই শ্রেণিভেদ থাকা উচিত নয়।
আর মূল্যস্ফীতি রোধে মহার্ঘ ভাতা যে সব সময় কাজে লাগে না, সে কথাও মনে রাখতে হবে। যেমন ধরুন সরকার ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিল। আর নিত্য পণ্যের দামও ২০ শতাং বাড়ল। তাতে প্রকৃত বেতন এক টাকাও বাড়বে না।
আমাদের দেশে অনেক রকম বৈষম্য আছে। রাজনৈতিক বৈষম্য। সামাজিক বৈষম্য। সাংস্কৃতিক বৈষম্য। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য। সরকার এখানে রহস্যজনক কারণে ‘হাত’ দিতে চাইছে না।
অতীতের সরকারগুলো বৈষম্যকে লালন করেছে। তারা তেলা মাথায় তেল দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একই কাজ করবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। বৈষম্যবিরোধী পথযাত্রা শুরু হোক ওপর ও নিচের পর্বতসম বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় শ্রেণির ওপরের ও নিচের কর্মীদের বেতনবৈষম্য একেবারে রহিত না হলেও কমবে আশা করা যায়।
Post a Comment