Cozy Keys to Good Health: How Staying Warm Eases Pain, Fights Colds and More


Chilly temperatures call for coziness. While bundling up at home is a great way to stay comfortable during colder months, it can also improve your wellbeing. Whether you love sipping hot cocoa, snuggling under a fuzzy blanket or relaxing near a crackling fire, we break down the cozy keys to good health.

Cozy keys to good health 

These cold weather health boosters are study-proven to ease inflammation, improve mood, boost immunity and more. 

Hot cocoa tames pain 

The next time a damp, chilly day makes you feel stiff and sore, reach for a study-proven painkiller—a delicious mug of hot cocoa! Swedish investigators reporting in the journal PLOS One say that hot cocoa boasts rich stores of phytonutrients (flavanols) that quickly calm overactive pain nerves and tamp down tissue inflammation, easing achiness in as little as five minutes. More good news: Their research found that nibbling a few ounces of milk or dark chocolate can give you the same impressive pain relief.

Bed stretches soothe sore muscles 

Instead of scrambling out of bed and reaching for your to-do list, take a few minutes to relax under the covers while you stretch your arms, legs and back. Brazilian scientists say gently stretching warm, relaxed muscles tamps down pain flares as effectively as outdoor walks can.

A fuzzy blanket sharpens focus 

Dreary weather and more time spent cooped-up indoors can make you feel foggy and scattered. Thankfully, taking a few minutes to snuggle under a warm, fuzzy blanket can help, boosting focus, concentration and productivity by as much as 52 percent. That’s the word from Columbia University scientists, whose study revealed that even a 2°F boost in skin temperature instantly relaxes and opens arteries, increasing the flow of energizing, oxygen-rich blood to the brain.

While you’re relaxing under a warm throw, try writing out a list of fun things you’d love to do (such as shopping for new houseplants, visiting your favorite bakery or enjoying a game night with friends). This can sharpen your focus within minutes, British investigators say. They explain that even just anticipating happy times fuels the release of energizing beta brain waves.

Your favorite cardigan tames stress 

If you catch yourself stressing when you’d rather be smiling, try donning a pretty cardigan. Temple University research suggests that layering on this cozy topper cuts tension, edginess and anxiety by as much as 60 percent in minutes. How? Experts say the gratitude you feel when you’re wearing clothing that you love (and that helps you stay comfy and warm on chilly days) prompts the release of tension-taming neurotransmitters.

Bonus points if you knit your own sweater or scarf! Spending a little time each day doing something creative, such as knitting, crocheting or scrapbooking, drops your stress level by as much as 75 percent, an Australian study suggests. That’s because creative activities stimulate brain nerves to release the calming hormone serotonin.

A cozy fire blocks colds 

Relaxing by a warm, crackling fire a few times each week while you read, listen to music or just gaze at the pretty flames cuts your risk of colds, influenza and other winter ills in half. Plus it reduces your recovery time if you’re under the weather right now, USC research suggests. The calming sight, sound and warmth of a cozy fire makes stress hormone levels plunge, and that healthy hormone shift activates 220 immunity-boosting genes.

Already under the weather? Try stretching out for a little snooze, which reduces your symptoms and recovery time if you pick up a cold or other viral ill this winter. So say Chinese investigators, who found that germ-fighting immune cells (lymphocytes) are far more active when you’re well-rested.

A hot bath lifts your spirits 

Meh moods tend to drag us down more frequently (and for longer periods of time) in the winter months when happiness-boosting UV light is in short supply. The at-home Rx? A blissful bath. German scientists say relaxing in a warm, steamy tub of water for as little as 20 minutes prompts the release of mood-steadying brain waves. And it can banish the blues and restore cheer more effectively than exercise can if you treat yourself to two baths weekly.

Also smart: Keeping your home at a comfy 72°F during the day can prevent blue moods (even if you drop the temperature at night when you’re sleeping), suggests a review of 20 studies in the journal Public Health. Being in a comfortably-warm space calms your nervous system, prompting it to release the happiness-boosting hormone dopamine.

Snuggly slippers lower your blood sugar 

Keeping blood sugar steady is key to preventing type 2 diabetes and keeping your energy up. And Dutch scientists say keeping yourself warm on chilly evenings by donning slippers or wearing fuzzy pajamas can make blood glucose control soar in as little as one week. Keeping skin warm activates genes that heighten insulin sensitivity inside muscle and liver cells, helping them quickly soak up and burn blood glucose for fuel.



Categories:

 খসড়া বিধি চূড়ান্ত

মামলা না থাকলে বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়বেন না প্রার্থী


ফৌজদারি আইনে কোনো মামলা না থাকলে বিসিএসসহ সরকারি চাকরির গেজেট থেকে নির্বাচিত বা সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের বাদ না দেওয়ার বিধান রেখে খসড়া বিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কাউকে সরকারি চাকরির জন্য অনুপযুক্ত (বাদ দেওয়া) মনে করা হলে, কেন তাকে অনুপযুক্ত মনে করা হয়েছে, তা প্রার্থীকে অবগত করা হবে। তাছাড়া বাদপড়া প্রার্থী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ (পুনর্বিবেচনা) করে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পূর্ণ কমিশন সভায় এ বিধি চূড়ান্ত করা হয়। রাত ৮টার দিকে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, শিগগির এ খসড়া বিধিমালাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে এটি বিবেচনা করার পর চূড়ান্ত করা হবে। চূড়ান্ত হলে বিধিটি বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
পিএসসির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারি চাকরি (প্রার্থীর প্রাক-পরিচয় যাচাই) বিধিমালা ২০২৫’ খসড়া চূড়ান্ত করেছে পিএসসি। বিধিমালাটি পরীক্ষার্থী-বান্ধব করা হয়েছে। এর ফলে সুপারিশ করা প্রার্থীদের হয়রানি বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং বৈষম্য নিরসনে অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এতে আরও বলা হয়, খসড়া বিধিতে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে যে, কোন কোন পরিস্থিতিতে একজন প্রার্থীকে সরকারি চাকরির জন্য অনুপযুক্ত (বাদ দেওয়া) ঘোষণা করা যাবে। কেন প্রার্থীকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তা তাকে অবগত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
‘এছাড়া অনুপযুক্ত ঘোষিত ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাইলে অনুপযুক্ত প্রার্থীর বিষয়ে পুনঃতদন্ত করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর অধীন একটি বিধিমালা হিসেবে সব শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর জন্য এটি জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’
‘বিধি জারি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সার্বিক বিবেচনা করবে। বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রেও এ বিধি প্রযোজ্য’ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Categories:

 

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১৪৯৮১২ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 
দেশের ইতিহাসে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ২ ও ৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১৬, ২৩ ও ৩০ জানুয়ারি সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৫ দিনের ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা। এর আগে কখনো সোনার এত দাম হয়নি। এতদিন ভালো মানের এক ভরি সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
ভালো মনের সোনার রেকর্ড দাম হওয়ার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে অন্যান্য সোনার দামও। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯০২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৮৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এই প্রথম সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেলো।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯২৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৯৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪০৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৯৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৫৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এ দামেই সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয়েছে।
এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


Categories:

 

বিয়ের মণ্ডপে পুরোহিতের প্রেমে পড়লেন নববধূ, অতঃপর...


বিয়েতে নানা কাণ্ড ঘটে। কখনো বরের সামনে উদ্দাম নেচে নজর কাড়েন বধূ, আবার কখনও বিয়ের মঞ্চে অন্য পুরুষকে মালা পরিয়ে দেন কনে। সম্প্রতি সেই রকমই একটি ভিডিও নজর কেড়েছে সামাজিকমাধ্যমে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিয়ের মণ্ডপে নববধূর সাজে হাজির কনে।

পাশে রয়েছেন বরও। মন্ত্র পড়ছেন পুরোহিত। বিয়ের মন্ত্র পড়া চললেও কনের নজর আটকে রয়েছে পুরোহিতের দিকে। কনেকে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে যান তরুণ পুরোহিতও।

বিয়ে দিতে এসে নিজেই কনের নজরে পড়ে যান পুরোহিত। ভিডিওর শেষে দেখা যায়, পুরোহিত অপ্রস্তুত হয়ে হাসতে শুরু করেছেন। পুরো ঘটনাই ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিকমাধ্যমে। 

ভিডিওর মন্তব্যে একজন হাসির ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘পণ্ডিতের মনোযোগ অন্যদিকে সরানো হয়েছে।’ আর একজন লিখেছেন, ‘পুরোহিত নববধূর স্বামীর চেয়েও সুদর্শন।’


Categories:

 কেটেছে ক্রয় জটিলতা, সারাদেশে যাচ্ছে ইপিআই টিকা


সারাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) টিকার সংকট বেশ কয়েক মাস ধরেই। হাসপাতাল বা টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে ফিরে এসেছেন অনেকেই। যদিও গত মাসের শেষে প্রোগ্রাম ম্যানেজার জানান, টিকার ক্রয় জটিলতা কেটেছে। জানুয়ারি মাসের পর আর এ সংকট থাকবে না। এ মাসের মধ্যেই তারা এটি কাটিয়ে উঠবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শিশুদের টিকাগুলো সরকারি এবং বিদেশিদের দেওয়া অর্থে কেনা হয়। এখন টিকার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে টিকা ক্রয় সংক্রান্ত জটিলতা কেটেছে।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের পশ্চিম সীমান্তের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে টিকা পাওয়া যায়নি। নবজাতকের জন্মের পর প্রথম টিকা বিসিজি দেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী টিকাদান কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে জানানো হয় টিকার সরবরাহ নেই। পরের সপ্তাহে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে টিকার ব্যবস্থা হয়। তবে টিকা নিতে গিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রে টিকাদান কার্ডের সরবরাহ নেই। অথচ শিশুদের জন্য এই কার্ড অতিজরুরি একটি বিষয়। জন্মনিবন্ধন করাসহ জীবনের বৃত্তান্ত সংরক্ষণের দলিল হিসেবে কাজ করে এই কার্ড।
কেন্দ্রে টিকাদান কার্ডের সরবরাহ নেই। অথচ শিশুদের জন্য এই কার্ড অতিজরুরি একটি বিষয়। জন্মনিবন্ধন করাসহ জীবনের বৃত্তান্ত সংরক্ষণের দলিল হিসেবে কাজ করে এই কার্ড।
নবজাতকের বাবা হাসিবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যে টিকাদানে আমাদের সাফল্য বিশ্বস্বীকৃত, এখন সে টিকার যথাযথ সরবরাহ নেই। অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি।
একই চিত্র দক্ষিণের জেলা বরগুনায়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে গত ১৫ জানুয়ারি টিকা না পেয়ে ফিরে যান ১০ থেকে ১২ জন। এর মধ্যে শিশু আসফিয়া তাইয়েবার মা শাহিমা আকতার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যথাসময়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তবে টিকা নেই বলে ফিরিয়ে দিয়েছে। শুধু আমাকে নয়, আমার সঙ্গে আরও ১০/১২জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরের সপ্তাহের বুধবার (২২ জানুয়ারি) গিয়ে টিকা দিতে পেরেছি।
এটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বরগুনার চিত্র নয়, সারাদেশেই এমন চিত্র বলে স্বীকার করেছেন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, ক্রয় সংক্রান্ত দীর্ঘসূত্রতার কারণে এমন সংকট দেখা দিয়েছে। সামনে এমন পরিস্থিতি থাকবে না।সারাদেশে টিকা পাঠানো শুরু করেছি। এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ টিকা পাঠিয়েছি, বাকি ৬০ শতাংশ পক্রিয়াধীন। আমরা টাকা পরিশোধ করেছি, টিকার ফুল শিপমেন্ট হয়ে গেলে আর সংকট থাকবে না। ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সারাদেশে টিকা পাঠানো শুরু করেছি। এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ টিকা পাঠিয়েছি, বাকি ৬০ শতাংশ পক্রিয়াধীন। আমরা টাকা পরিশোধ করেছি, টিকার ফুল শিপমেন্ট হয়ে গেলে আর সংকট থাকবে না।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কাজে স্বাভাবিকভাবেই দেরি হয়, এটা জেনেই সামনে যেন এমন সংকট না হয় সেজন্য কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি।
ইপিআই কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময় (প্রাপ্যতা অনুযায়ী) যক্ষ্মা, ডিফথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুবেলা এই ৯টি রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করা হয়। টিকা প্রদানের পর নতুনদের পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করে টিকাদান কার্ড দেওয়া হয়। এছাড়া পুরাতনদের কার্ডে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের ৫ ডোজ টিটি টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।

Categories:

 ২০২৪ সালে নিহত ১৪০

বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরায় ৪ হাজার অগ্নিকাণ্ড


২০২৪ সালে সারাদেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি এবং দিনে গড়ে ৭৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাস সংক্রান্ত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানান।
এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে গত বছর অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করে।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারাদেশে ৩৪১ জন আহত ও ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণের সময় ৩৭ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে দুজন কর্মী নিহত হন।
ফায়ার সার্ভিসের ৩৪ গাড়ি ভাঙচুর-৮ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
তালহা বিন জসিম বলেন, অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯০৬৯টি-বিড়ি-সিগারেটে ৪১৩৯ অগ্নিকাণ্ড
কারণভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২ শতাংশ), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬ শতাংশ), উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ৭৮৯টি (২.৯৫ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪ শতাংশ), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫ শতাংশ), কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশবাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৭ হাজার ১৩১টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৬.৭৪ শতাংশ।
এক বছরে খড়ের গাঁদায় সাড়ে ৪ হাজার আগুন
গত বছর খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ৫১৩টি (১৬.৯২ শতাংশ), রান্না ঘরে ২ হাজার ৪১১টি (৯.০৪ শতাংশ), দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি, হাট-বাজারে ৯১১টি, শপিংমলে ৪৮১টি, পোশাক শিল্প ব্যতীত কলকারখানায় ৪৯৪টি, পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ২৩৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১১টি, বহুতল ভবনে (৬ তলার উপরে) ১৫৩টি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ১৫০টি, কেপিআই ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২৯টি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১২৬টি, পাটগুদাম-পাটকলে ১২৩টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি, বস্তিতে ৮৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৮টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরিবহনে আগুন
পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে সারাদেশে বাস বাদে যানবাহনে ২৬৮টি, বাসে ১১৪টি, ট্রেনে ১৩টি, লঞ্চে ৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২৭৩৭ অগ্নিকাণ্ড
মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি (২৭৩৭টি), মার্চ (৩৪২১টি), এপ্রিল (৩৪২৬টি), মে (২৬৮৬টি)- এই চার মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই চার মাসে গড়ে প্রতিদিন ১০২টি করে আগুন লেগেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৫১৪টি, জুলাই মাসে ১ হাজার ৪২৭টি, আগস্ট মাসে ২ হাজার ১৬৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এক বছরে আগুনে নিহত ১৪০
২০২৪ সালের অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতের পরিষংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে ২৩৭ জন পুরুষ ও নারী ১০৪ জন এবং নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। এছাড়া আহত ও নিহতের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে (আহত ৭২, নিহত ৩৬), গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (আহত ৫৩, নিহত ৮) এবং রেস্তোরাঁ ও হোটেলে (আহত ৭৮, নিহত ৪৭) আগুনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে সারাদেশে ডুবুরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৫৬ জন আহত ও ৭৫০ জন নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। একই সময় ৩০৩টি পশু, ৫০টি পাখি, ২২৭টি প্রাণি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
২০২৪ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৯ হাজার ১২৮টি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ১০ হাজার ৮২৬ জন আহত ও ২ হাজার ৪৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৩১৯ জন আহত ও ১ হাজার ৪৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
মোবাইল কোর্টে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা
তালহা বিন জসিম আরও জানান, সারাদেশে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এসব মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অগ্নিদুর্ঘটনা কমানোর জন্য সারাদেশে জনগণকে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৮ হাজার ৯৮৩টি মহড়া, ৩ হাজার ৩৬টি সার্ভে, ১৫ হাজার ৬৮৩টি গণসংযোগ করেছে।
এছাড়া সারাদেশে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে ৭ হাজার ৭৬৯টি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৭ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অপরদিকে ২০২৪ সালে শুধু পোশাকশিল্প কারখানায় ৩ হাজার ৯২১টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪০ জন পোশাক শ্রমিককে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
Categories: